লোনলিনেস

Jan 20, 2021

বাসা থেকে মিনিট দশেক শহরের বিপরীতে গেলে কাঁচা গোবরের গন্ধ পাওয়া যায়। মাটির সরু পথের পাশে সাজানো থাকে ঘুঁটের মিনার। একদিকে অফুরান বিল অন্যদিকে অপরিকল্পিত কয়েকটা বাড়ি। এই বিলকে অসীম মনে হতো একসময়। বুঝিবা হেঁটে ওর শেষ মাথায় পৌছানো সম্ভব হবে না কখনও। অথচ এখন ছোট ছোট খোপ করে প্লট বিক্রি হচ্ছে ডিভাইন আবাসিক প্রকল্পের নামে। শৈশবে যা কিছুকে মনে হতো এতো মহান—তা কেমন করে যেন সব মিথ্যে হয়ে যায়।

এই শহরটাকে হেঁটে পাড়ি দিয়েছি এমাথা-ওমাথা। তখন ক্লাস সিক্স কি সেভেন—রমজান মাস। সেহরীর পর থেকে দুপুর পর্যন্ত শহুরে গলি কিংবা রাজপথ বেয়ে বেড়াতাম। ছোটখাট একটা দল হয়ে গেলো কিছুদিনে। আর এখন গ্রামের দিকে যাই—শহরের বিপরীতে—একা—রাতের-গুমোট-শীতে। ওদিকটা কেমন চুপ করে যায় সন্ধ্যার পর। দোকানের শাটার পড়তে থাকে একে-একে, টঙের চুলা অল্প আঁচে জ্বলতে থাকে। কে যেন সাইকেল উঠিয়ে দেয় দেড় মাস বয়সী কোনো কুকুরের পায়ের উপর। খেয়াল করলে আপনি তখন এই নগরীর প্রতি তার অভিশাপ শুনতে পাবেন।

ভেজা বাতাসের সাথে শরীরে ঢোকে লোনলিনেস। তার সাথে প্রেমে-দ্রোহে গুজরান করা সময়গুলো একাকার হয়ে যায়।—

প্রোসলোনলিনেস

হাবে বইসা মোড়লের লগে আঁতাত

বিদেশাহত ব্রুকলিন